এই প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে, চলুন একটু ছবির সফরে, বরফের সাম্রাজ্য, স্কি ভিলেজ আউলিতে। ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের একদম উত্তরপ্রান্তে, অসংখ্য তুষারমন্ডিত শৃঙ্গে ঘেরা গাড়োয়াল হিমালয়ের কোলে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আড়াই থেকে তিন হাজার মিটার উচ্চতায়, ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম আউলিকে ঘিরে তৈরী হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্কি ভিলেজ। প্রতি বছর শীতকালে আউলির পাহাড়ি ঢালগুলো যখন সাদা বরফের পুরু আস্তরণে ঢেকে যায়, তখন আউলির স্কি রিসর্টে জমে ওঠে স্কি শেখার আসর আর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের স্কি প্রতিযোগিতা। বছরদুয়েক আগে গিয়েছিলাম আউলিতে, ভেবেছিলাম স্কিতে একটু হাত মক্স করবো। কিন্তু স্কি তো শেখা হলো ছাই, শুধু সারাদিন ধরে ক্যামেরার সাটারটা ব্যস্ত রেখে গেলাম। সেই সব ছবিরই কিছু টুকরো টাকরা এখানে দিলাম, এই গরমে চোখের শান্তি তো হবে। প্রসঙ্গতঃ বলে রাখি, আউলির ১৮০° খোলা দিগন্ত থেকে হিমালয়ের যে তুষার শৃঙ্গগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল - নন্দাদেবী, মানা পর্বত, কামেট, দ্রোণাগিরি, ত্রিশুল (কিছুটা) ইত্যাদি। আউলি যাওয়ার সহজ পথ - কলকাতা থেকে হরিদ্বার ট্রেনে (দুন ও ঊপাসনা এক্সপ্রেস) - হরিদ্বার থেকে যোশীমঠ বাস বা রিজার্ভ কারে (সারাদিন লেগে যাবে) - যোশীমঠ থেকে পৃথিবীর উচ্চতম রোপওয়েতে চেপে আউলি (স্কি সিজনে গেলে ভুলেও গাড়িতে যাবার চেষ্টা করবেন না। শেষের দিকে অনেকটা চড়াই পথ বরফের উপর পায়ে হেঁটে যেতে বাধ্য হবেন, ঠিকঠাক স্নোবুট না থাকলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না। তাছাড়া রোপওয়ে থেকে বরফ ঢাকা হিমালয়ের যে সৌন্দর্য চোখে পড়বে, তার তুলনা হয় না।)। আউলিতে একটাই থাকার ঠিকানা, তা হলো জিএমভিএন-এর স্কি রিসর্ট। তাই আগে থাকতে ঘর বুক করে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। যোশিমঠেও জিএমভিএন-এর হোটেলে থাকাই সুবিধাজনক। হরিদ্বারে অগুনতি হোটেল, শুধু একটু দেখে শুনে নিলেই হলো। জিএমভিএন-এর আন্তর্জাল ঠিকানা
http://www.gmvnl.com/। ওখানে অনলাইন হোটেল বুকিং ও স্কি প্রশিক্ষনে যোগ দেবার ব্যবস্থা আছে। GMVN-এর কলকাতা অফিসের ঠিকানা:
Garhwal Mandal Vikas Nigam Ltd.
Room no. 224, Marshall House 33/1
2nd floor Netaji Subash Road
Kolkatta - 700001
Tel / Fax : 033-22315554
Email: prokolkatta@vsnl.net
আর একটা কথা, স্কি-এর মরশুমে আউলিতে গেলে বরফে পরার ঘন কালো রোদচশমা আর ভাল শীতের পোষাক নিতে কোনভাবেই ভুলবেন না যেন। বরফে হাঁটার জুতো, ওখানেই ভাড়া পেয়ে যাবেন।
যাবার পথে
পাহাড়ে ঘেরা দিগন্ত
বরফের সাম্রাজ্যের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাবে রোপওয়ে
পরিবেশবন্ধু বিকল্প বিদ্যুতের খোঁজে
বরফে মোড়া পাহাড়ি প্রান্তর
এটা স্কি খেলার মাঠ
রোপওয়ে লান্ডিং স্টেশান
আউলির দিগন্ত এরকমই
সাদা রঙ সবুজকে হারিয়ে দিতে পারেনি
পাহাড়ের ঢাল
আমি আছি!
ঘরের জানলা থেকে
নিচে পাহাড়ি গ্রাম
আর একটু জুম করে
ভাষা খুঁজে পাইনা
শিক্ষক ও ছাত্র
ওই যে ওরা মাঠে নেমে পড়েছে
এরা আমায় নিরন্তর হাতছানি দেয়। আবার কবে আসবে, আমাদের কোলে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন